বুক অলিম্পিয়াড একটি নতুন প্রতিযোগিতা

যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উদ্ধুদ্ধ করা। আমরা মনে করি, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সামাজের অমূল্য পরিবর্তন ঘটবে।

১.১ বুক অলিম্পিয়াড

বুক অলিম্পিয়াড একটি নতুন প্রতিযোগিতা, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উদ্ধুদ্ধ করা। আমরা মনে করি, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সামাজের অমূল্য পরিবর্তন ঘটবে।

১.২ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ক. দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে বুক অলিম্পিয়াড ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আকর্ষণ ফিরিয়ে আনা।
খ. বইপড়ার অভ্যাস জাগ্রত করা।
গ. দেশ–বিদেশের বইগুলো সম্পর্কে জানানো।
ঘ. বইয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ তার সৃজনশীল ও মননশীল ভাবনার জগৎ সৃষ্টি করতে পারে, তা এই অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে জানানো।
ঙ. দেশের শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান উৎসাহ এবং একই সঙ্গে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে এই বছরের প্রথমবারের মতো সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াড-২০২৪ আয়োজন করা অন্যতম লক্ষ্য।

২.১ কারা অংশ নিবেন

বুক অলিম্পিয়াডে সব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। নিবন্ধন করতে হবে।

২.২ কি কি ক্যাটাগরি থাকবে

বইপড়ার অভ্যাসকে জনপ্রিয় করার জন্য সব পর্যায়ে বুক অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হবে। তার জন্য ৪টি ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। ক্যাটাগরিগুলো হলো:
ক. প্রাইমারি-তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য
খ. জুনিয়র-ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য
গ. সেকেন্ডারি-নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য
ঘ. হায়ার সেকেন্ডারি- একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য।
ঙ. ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী

২.৩ কি কি বিষয় থাকবে

ক. বিভিন্ন বইয়ের উপরে একঘণ্টা পরীক্ষা
খ. বইপড়া ও বই বিষয়ক কর্মশালা
গ. কুইজ
ঘ. আলোচনা
ঙ. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

৩.১ আয়োজন সর্ম্পকে

০১. আঞ্চলিক পর্যায় পর জাতীয় পর্যায় অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে ৭১ জনকে বিজয়ী করা হবে। তাদেরকে বই মেডেল ও টি-শার্ট পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।
০২. আঞ্চলিক পর্যায়ে আয়োজন হবে এক দিনব্যাপী। জাতীয় পর্যায়ে দুইদিনের আয়োজন করা হবে।
০৩. বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায়ই প্রশ্ন করা হবে।
০৪ বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে।
০৫. চার ক্যাটাগরির চারজনকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস পদক’ দেওয়া হবে।
০৬. আঞ্চলিক পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে একটা বইবিষয়ক কর্মশালা ক্যাম্প আয়োজন করা হবে।
০৭. আঞ্চলিক ও জাতীয় বিজয়ীদের বই পুরস্কার দেওয়া হবে।

৩.২ বুক অলিম্পিয়াডে কর্মশালা নিবেন

দেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, কবি, ইতিহাসবিদ, গবেষক ও লেখকগণ।

৪.১ অলিম্পিয়াডে উপলক্ষে যা প্রকাশিত হবে

১. বুক অলিম্পিয়াড কি? কেন প্রয়োজন? এই নিয়ে একটা পুস্তিকা প্রকাশ ।
২. বইবিষয়ক বইচারিতায় এর বিশেষ সংখ্যা বের করা।
৩. বুক অলিম্পিয়াডের ওপর চার পাতা রঙিন ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

৫.১ কিভাবে পরিচালিত হবে

মুক্ত আসর এর তত্ত্বাবধায়নে ‘৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হবে। দেশের বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, ইতিহাসবিদ এই কমিটিতে থাকবেন। কমিটি বুক অলিম্পিয়াড আয়োজন করার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন।

৫.২ মুক্ত আসর

‘মুক্ত আসর’ একটি সামাজিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ‘স্বপ্ন দেখি দেশ গড়ি’ এই মূলমস্ত্র ও স্লোগানে ২০১১ সালের ২৮ মে থেকে মুক্ত আসর কাজ করে যাচ্ছে। ‘মুক্ত আসর’ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতর থেকে নিবন্ধিত একটি সংগঠন।
এই সংগঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করে থাকে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উদ্ধজীবিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করে চলছে। উল্লেখ্য করা যেতে পারে-মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ, সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের জন্য ‘চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’, গাজীপুরের আশুলিয়া নন্দন পার্কে মুক্তির মেলা ও বিজয় উৎসব, দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা স্বপ্ন ’৭১, প্রথমা থেকে প্রকাশিত একাত্তরের বীরযোদ্ধা বইয়ের খেতাবপ্রাপ্ত যোদ্ধাদের তথ্য সংরক্ষণের সহযোগিতা করা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কর্মশালা, পাঠ্যচক্র, বীরাঙ্গনাদের সহায়তা, চলচ্চিত্র উৎসব, গণহত্যা দিবস, লেখকদের নিয়ে ‘লেখকের সঙ্গে আড্ডা’ মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত তথ্য নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে তথ্যভান্ডার মুক্তিযুদ্ধপিডিয়া, তরুণদের নিয়ে নেতৃত্ববিষয়ক কর্মশালা, নজরুল বিষয়ক ‘আমিই নজরুল’ কার্যক্রম, বইবিষয়ক বইচারিতা, ইতিহাস অলিম্পিয়াডসহ নানা আয়োজন।